আমরা কখন বিষন্নতা অনুভব করি! পর্ব-১ (ফিরেএসো)
আমরা কখন বিষন্নতা অনুভব করি!
একটু মুচকি হাসি যে বেদনা ও কান্না লুকিয়ে রাখতে পারে, সেটা সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) ছাড়া আর কে জানে? এই দুনিয়াতে যা দেখা যাচ্ছে, তা এক ঝলক মাএ। আল্লাহর কাছে নিজের দুঃখের ভার তুলে দিন।
হয়তো আপনি পরীক্ষা, হতাশ, সন্দেহ, দুশ্চিন্তা ও ভয়ের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। আপনি যদি আল্লাহর মুখাপেক্ষী হন, তবে আপনার জানা উচিত, আল্লাহ আপনার সকল বিষয় তদারকি করেন।
বিষণ্ন থাকার সময় নিজের মনকে আপনি যা বলেন, তা বিশ্বাস করবেন না। কেননা শয়তান বিষণ্ন ও দুঃখ ভারক্রান্ত লোককে পছন্দ করে। আপনার মনকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ শয়তানকে দিবেন না।
একাকীত্ব ও বিষাদ অনুভব করলে সর্বশক্তিমান (আল্লাহর) শুকরিয়া আদায় করুন। আল্লাহ আপনার অন্তরকে দুনিয়ার মোহ থেকে সরিয়ে, নিজের দিকে চালিত করছেন। তাই শান্তি অনুভব করুন।
আমাদের অসুখী হবার অন্যতম কারণ হচ্ছেঃ আমরা মাত্রাতিরিক্ত চিন্তা করি। যেসব জিনিস আপনার উপকারে আসে না, সেগুলোকে অন্তর থেকে বিদায় করুন। ইতিবাচক চিন্তা সুদূর পথ পাড়ি দেয়।
পা পিছলে গেলে ভারসাম্য ধরে রাখা যায়, কিন্তু হিহ্বা থেকে ভুল করে কথা বেরিয়ে গেলে, ক্ষতি যা হওয়ার, তা হয়ে যায়। সেজন্য পরচর্চার ব্যাপারে সর্তক হন।এটা একজনের মর্যাদা হরণ করে।
প্রতিটি কঠিন পরিস্থিতি আপনাকে আরও ভালো কিছু জন্য তৈরি করে। তাই দুঃখি হবেন না। সর্বশ-ক্তিমান (আল্লাহ) আপনার জন্য উত্তম জিনিস চান, অন্যদিকে শয়তান আপনাকে ধ্বংস করতে চায়। সর্তক হয়ে যান।
সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) , যখন আত্নবিশ্বাসের অভাবে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি এবং নিরাশা যখন আমার অন্তরকে গ্রাস করে, তখন নিজেকে ফিরে পেতে আমাকে আরেক-টিবার সাহায্য করুন। [ হে আল্লাহ] আমার অন্তকে আশায় পূর্ণ করে দিন।
No comments