এ ধরনের কাজ পরিত্যাগ করুন পর্ব- ৫

এ ধরনের কাজ পরিত্যাগ করুন 

স্রষ্টার সামনে সালাত ( সামাযে) দাঁড়ালে আপনার মন কি এদিক-ওদিক অসংখ্যবার ছুটতে থাকে? আমরা সবাই মনোযোগহীন-তায় ভুগি। অথচ, আল্লাহ আমাদের পুরো মনোযোগ পাওয়ার দাবি রাখেন। 

নিজের জীবনের জন্য কৃজ্ঞত হন। আল্লাহ আপনাকে ক্ষুদ্রতম ‍যে ‍জিনিস দান করেছেন, সেটারও মূল্যায়ন করুন। যে জিনিসকে আপনি হালকাভাবে দেখেন, অনেকের কাছে সেটা পাওয়াই স্বপ্ন হওয়ার মতো। 

পরবর্তীবার কারো সম্পর্কে যখন আপনি কিছু অনুমান করবেন, তখন নিজের মনকে প্রশ্ন করবেন, তুমি  কি জানো , লোকটির অন্তরে কি আছে ? আপনি তা কখনো জানেন না। এটা কেবল সর্বশক্তিমান (আল্লাহই) জানেন।

মন্দ অভ্যাস হঠাৎ বদলানো যায় না। এটার জন্য আপনার দরাকার মজবুত ইচ্ছা, ধৈর্য ও দৃঢ়-প্রত্যয় সর্বোপরি, নিজেকে সংশোধনের জন্য আল্লাহর কাছে হেদায়তের প্রার্থনা করুন।

শালীন মানুষ হন। এর জন্য কোনো পয়সা লাগে না। জেনে রাখুন, এই দুনিয়াতে আমরা  একটি জিনিসেরও মালিক নই। প্রতিটি জিনিসিই আমাদের সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের নিকট ঋণ হিসেবে অবস্থান করে। 

আপনার অন্তকে প্রতিশোধ ও ঘৃণা থেকে নিরাপদ রাখুন। এগুলো যেন আপনাকে গ্রাস না করে।প্রতিহিংসাপরায়ণ আত্নার পরিনতি করুন হয়। এর পরিবর্তে  বরং ক্ষমা করতে শিখুন।

আপনি কাকে অপমান করছেন, কার অপবাদ রটাচ্ছেন, সে ব্যাপারে সর্তক হন। অন্যের বিরুদ্ধে গুজব ও অপবাদ রটানোর জন্য আপনাকে চরম মূল্য চুকাতে হবে। এ ধরনের কাজ পরিত্যাগ করুন।

অন্যের বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং পরের বিষয়ে নাক গলাবেন না। যে জিনিস আপনার জন্য গুরুত্ববহ নয়, তা নিয়ে একদম মাথা ঘামাবেন না।নিজের জীবন নিয়ে মাথা ঘামান।

ধ্বংস হওয়ার আগেই সতর্ক হোন 

যতক্ষণ আপনি বেঁচে আছেন, ততক্ষণ কিছুই বিলম্ব নয়। আপনার মনকে অশান্ত বানানোর সুযোগ কাউকে দিবেন না। আপনি যদি সর্বশক্তিমান ( আল্লাহর ) দিকে মুখ ফেরাতে চান, তবে সেটা এখনই করুন এবং জীবনের  ঐ [ কাঙ্খিত পরিবর্তিনটি আনুন )।

এটা বলবেন না , অনেক পাপ করছি, তাই আমি সালাত (নামাজ) আদায় করি না, আপনি  সালম (নামায) আদাই করেন, কারন আপনার প্রতি আল্লাহর দয়া ও ভালোবাসা সীমাহীন। সর্বশক্তিমান (আল্লাহর) দিকেই মুখ ফেরান। 

নৈরাজ্য মোকাবেলা একমাত্র পথ হচ্ছে: শান্ত ও ধীরস্থীর থাকা। পরিস্থিতি গোলমেলে হলে শান্ত থাকুন। অন্তরে বিষণ্ণতা অনুভব করলে, হেদায়েতের জন্য অন্তরকে সর্বশক্তিমান (আল্লাহর) হাতে সোপর্দ করুন।

অন্যের প্রতি হিংসাপরায়ণ হয়ে তাদের ব্যাপারে গুজব ছড়াবেন না। অহেতুক গালগল্প বানানো মালাত্নক রকমের পাপ। সর্বশক্তিমান ( আল্লাহ) সবকিছুই জানেন, এই বাস্তবতা ভয় করুন। 

খারাপ কিছু কেন ঘটলো, এ ধরনের কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। যে জিনিসকে আপনি ‘খারাপ’ মনে করেন, সেটাই আপনাকে আজকের ব্যক্তিতে পরিণত করেছে। সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) কোনো ধরনের ভুল করেন না

সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) ‘না বলেন , তখন সেটার উদ্দেশ্য আমাদেরকে কাঙ্খিত লক্ষ্য থেকে আটকে রাখা নয়। বরং আমাদেরকে দুঃখ ও কষ্ট থেকে আগাল রাখার জন্যই তিনি এমনটি করেন। আল্লাহর গোপন অনুগ্রহ ভরসা করুন। 

আপনি কি কখনো দিশেহারা হয়েছেন , কিংবা এই জীবনে নিজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন ? ঐ সওার সংস্পর্শে থাকুন, যিনি মায়ের গর্ভে আপনাকে আকৃতি দিয়েছেন। তিনিই আপনার স্রষ্টা।[তাঁর কাছ  থেকেই ] আপনি  উওর পাবেন।

আমরা অপরাধী, এটা এক নির্মম সত্য আমাদেরকে দেয়া অনুগ্রহের মূল্যায়ন আমরা করি না, যতক্ষণ না আমাদের থেকে ঐ অনুগ্রহ তুলে নেয়া হয়। বিলম্ব হওয়ার আগেই সচেতন হন। 

অন্যের সমালোচনা করা বন্ধ করুন

আপনার জীবনের যদি বিরক্ত উদ্রেককারী কোনো জিনিসের প্রয়োজন হয়, তবে নিজের পাপের দিকে মনোযোগ দিন। অন্যের দোষত্রুটি নিয়ে মাথা ঘামানো বন্ধ করতে , এটাই আপনার জন্য যতেষ্ট হওয়া উচিত।

যখন আপনি পাপ কাজ করে ফেলেন , তখন [ আল্লাহর কাছে ] দ্রুত ক্ষমা ভিক্ষা করুন  এবং ঠিক পথে ফিরে আসুন। উপযুক্ত সময়ের’ জন্য অপেক্ষা করবেন না। হয়তো দ্বিতীয় আর কোনো সুযোগই থাকবে না। 

আপনি যদি পরিবর্তন আনার চিন্তা করে থাকেন, তবে নিজেকেেএকটু সহায়তা করুন। [জীবনের ] নতুন পাতা খুলুন। সর্বশক্তিমান (আল্লাহর) সাথে কথা বলুন। আল্লাহ সীমাহীন সুযোগ দিয়ে থাকেন।

সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা সব ধরনের যন্ত্রণাকে মেনে নেই এবং এটা ভুলে যাই, সর্বশক্তিমান (আল্লাহর) সাথে যে সম্পর্ক বজায় থাকে, সে সম্পর্ক ছাড়া আর কোনো সম্পর্কই শেষ বিচারের দিনে আমাদের উপকারে আসবে না। 

 বিপদের সময়ের নিসঙ্গতা অনুভব করা স্বাভাবিক ব্যাপার। [ঐ পরিস্থিতিতে ] আপনি নিজের দুঃখ অন্যের সাথে ভাগ করতে পারেন না। তথাপি জেনে রাখুন, আপনি যে পরিস্থিতেই থাকুন না কেন, সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) সবকিছু জানেন।

আপনি যত খারাপ পরিস্থিতি মধ্য দিয়ে যান না কেন, একদিন সবকিছু তার নিজস্ব গতি ফিরে পাবে। অন্যরা আপনার সম্পর্কে কি ভাবলো, সেটা নিয়ে এত মাথা ঘামাবেন না। একমাত্র আল্লাহর সন্তষ্টির মূখ্য বিষয়।

অদৃশ্য পাপ সম্পর্কে সর্তক হন। অন্তরে ঘাপটি মেরে বসে থাকা। পাপ এবং অন্যদের দৃষ্টির আড়ালে থাকা পাপই সবচেয়ে বিপদ জনক। এসব পাপ ঈমানকে দুর্বল বানায়।[ উদাহরণঃ বিয়া বা লোক দেখানো ইবাদত]।

আমরা আগামী দিনের পরিকল্পনা নিয়ে ভীষন ব্যস্ত, অথচ আমরা এটাই জানি না, আগামীকাল আমারা বাঁচবো কি না?  আখিরাতের ব্যাপারে-টা তবে কেমন হওয়া উচিত ? আখিরাত কি পরিকল্পনার উপযুক্ত নয়?

No comments

Theme images by caracterdesign. Powered by Blogger.