ধৈর্য নিয়ে অনুপ্রেরণা মূলক উক্তি পর্ব-২

 ধৈর্য নিয়ে অনুপ্রেরণা মূলক উক্তি পর্ব-২

সম্ভবত, সমস্যা মোকাবেলা করার সবচেয়ে ভালো পথ হচ্ছে, শান্ত থেকে ধৈর্যের সাথে সেটার মোকাবেলা করা। সবাইকে বলে বেড়ানোর কোনো মানে হয় না। আল্লাহর মাঝে স্বস্তি খুঁজুন। আপনি আবার উঠে দাঁড়াবেন।

যতই রাগান্বিত হন না কেন, অন্যকে কখনো গালি দিবেন না। হয়তো ঐ গালিই তাদের উদ্দেশ্যে আপনার শেষ কথা হতে পারে। সবর্দা সদয় থাকার সিদ্ধান্ত নিন।

যে জিনিসের জন্য আপনি দোয়া করেন, তা যদি সত্যই চান, তবে তার জন্য অপেক্ষা করতে আপনি কখনো ক্লান্ত হবেন না। সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) সবকিছু জানেন। সংগ্রামের মাঝেই সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে। আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন।

অন্যরা যদি আপনাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে, কিংবা আপনার ব্যাপারে গুজব ছড়ায়, তবে সেটাতে কখনো কান দিবেন না। কারণ অশালীন এই জিহ্বাগুলোকে আপনি থামাতে পারবেন না। তাই এক আল্লাহর সন্তুষ্টির দিকে মনোযোগ দিন এবং এটাই মুখ্য বিষয়।

তর্ক করে নিজের সময় নষ্ট করবেন না, বিশেষ করে উদ্ধত ও অহংকারীদের সাথে। যাই বলুন বা করুন না কেন, তারা সত্যকে কখনো মেনে নিবে না।

সর্বশক্তিমান ( আল্লাহ), সমস্যাতে জর্জরিত অশান্ত অন্তরগুলোর উপর শান্তি বর্ষণ করুন। [ হে আল্লাহ] তাদেরকে উত্তমভাবে ধৈর্য ধারনের শক্তি দিন এবং তাদেরকে পুণ্যবানদের দলে শামিল করুন।

যখন খারাপ কিছু ঘটে, তখন নিজেকে প্রশ্ন করুন, আমি এটা থেকে কি শিখতে পারি? উপদেশ খুঁজে বের করে তা উপলদ্ধি করুন। শক্তির জন্য সর্বশক্তিমান (আল্লাহর) উপর ভরসা করুন।

আপনি যেভাবে চান, সবকিছু সেভাবে হয় না। ধৈর্যশীল হতে শিখুন। আপনার যা আছে, সেগুলোর মূল্যায়ান করুন এবং সর্বশক্তিমান (আল্লাহকে) সর্বদা ধন্যবাদ দিন।

আপনার ভোগ করা কষ্ট, অশান্তি, উদ্বেগের ব্যাপারে অভিযোগ করবেন না। আপনি যে পরিস্থিতির মধ্যেই থাকুন না কেন,  সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) তা জানেন। সে অনুপাতেই তিনি আপনাকে পুরুস্কৃত করবেন।

আন্তরিকতার সাথে অনুশোচনা করে ফেলুন

 বসে থেকে কেবল নিজের পাপ নিয়ে চিন্তা করবেন না এবং আগামীকাল ক্ষমা চাওয়ার পরিল্পনা করবেন না। আগামীকাল যে আসবে, এই ওয়াদা কারও সাথে করা হয়নি। দেরি করবেন না। আন্তরিকতার সাথে অনুশোচনা করে ফেলুন।

অন্যের ব্যাপারে ভালো চিন্তা করুন। অন্যকে প্রশ্নের মুখোমুখি করা এবং তাদের প্রতিটি কর্মকান্ড সম্পর্কে সন্দেহ করাটা এখন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের মানসিকাতা ত্যাগ করুন। উন্নত চরিত্র গড়ে তুলুন।

আত্নাতুষ্টির ব্যাপারে সর্তক হয়ে যান। যে লোকটির নিজের ঈমান বাঁচাতে হিমশিম খাচ্ছে, তার থেকে নিজেকে কখনো আধ্যাত্নিকভাবে উঁচু ভাববেন না। আল্লাহ আমাদেরকে দৃঢ় রাখুন।

বিনয়ী হন। হয়তো ভাববেন, আপনি সবকিছু্ই জানেন। এটা কখনোই ভাববেন না, অন্যরা আপনাকে কিছুই শেখাতে পারে না। এমনকি আপনার অপছন্দনীয় মানুষের শিখতে পারেন। 

সর্বশক্তিমান ( আল্লাহ ), আমাদেরকে যা আদেশ করেছেন, সেসব আদেশকে কখনো তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবেন না। কাজটি করার জন্য আল্লাহ সাহায্য চান। এটাই সত্যিকার ঈমানদারের আচরণ। 

আপনার উপেক্ষা করা যা সামান্য একটি ভুল, আরেকটি বিরাট ভুলের জন্ম দিতে পারে। এটা তেমন কোনো বিষয় নয়’ এমন কথা বলার ব্যাপারে সাবধান হয়ে যান। এর মাধ্যমে হয়তো আপনি মারাত্নক পরিণতির শিকার হন। 

প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে নিশ্চিত করুন, আপনার শেষ কাজটি যেন ভালো হয়। সর্বশক্তিমান (আল্লাহকে)স্বরণ করুন এবং গোটা দিনটাতে যা করেছেন, সেসবের জন্য [আল্লাহর কাছে] ক্ষমা প্রার্থনা করুন।

অতীত জীবনের আপনি কি পরিস্থিতির মধ্য  দিয়ে গেছেন, তা মূল্যায়নের জন্য প্রচন্ড সাহস ও আস্থার প্রয়োজন হয়। যতক্ষণ সর্বশক্তিমান (আল্লাহর) উপর বিশ্বাস রাখবেন, ততক্ষণ আপনি ঠিক থাকবেন। 

No comments

Theme images by caracterdesign. Powered by Blogger.