ধৈর্যের চেয়ে সহজ সমাধান আর কিছু নেই! পর্ব- ৩

ধৈর্যের চেয়ে সহজ সমাধান আর কিছু নেই!

কখনো কখনো অপমানিত হলে, চুপ থাকা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। বিষয়টি সুরাহার দায়িত্ব সর্বশক্তিমান (আল্লাহর) উপর ন্যস্ত করুন। শান্তি বজায় রাখাটাই সর্বোত্তম।

যদি দাবি করেন, সর্বশক্তিমান (আল্লাহকে) আপনি ভালোবাসেন, তবে ধৈর্য ধারণ করুন। তাদের দলে  শামিল হবেন না, বিপদে পতিত হলে, যারা কেবল অভিযোগ করে এবং অধৈর্য হয়ে পড়ে।

যখন আপনি একটু একটু করে সর্বশক্তিমান (আল্লাহর) উপর ভরসা করতে শুরু করেন, তখন আপনি আত্মবিশ্বাস ও আশার সঞ্চার করেন এবং এমন অন্তরের অধকারী হন, যেটা আগের চেয়ে অধিক শান্ত ও আশীর্বাদপুষ্ট।

আপনার যা আছে, লোকেরা যদি সেসবের জন্য আপনাকে অপছন্দ করে, তবে তাদের সাথে পাল্টা খারাপ আচরণ করবেন না। প্রার্থনা করুন,ম আল্লাহ যেন তাদেরকে আপনার মতো নেয়ামত দেন এবং তাদেরকে সুখী রাখেন।

সর্বশক্তিমান (আল্লাহ), পরিস্থিতি আমার অনুকূল না হলে, আমাকে ধৈর্য ধারণ করার শক্তি দিন। [হে আল্লাহ] আমার অন্তরকে আপনার ইচ্ছা মেনে নেয়ার শক্তি দান করুন, কেননা আপনিই সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী।

যখন আপনি কিছু চান এবং সেটার জন্য অপেক্ষা করেন, তখন অভিযোগ ও অসন্তোষ দেখাবেন না। উত্তমরুপে ধৈর্য ধরুন। সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) যদি চান, তবে আপনি সেটা পাবেন।

যারা সত্যিকারের ধৈর্য ধারণ করে, সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) তাদেরকে ভালোবাসেন। তারা হাল ছেড়ে দেয় না, নিরাশ হয় না। তারা চেষ্টা চালায়, শ্রম দেয় এবং আল্লাহর জন্যই তারা সবকিছু করে।

প্রতিটি নতুন দিনিই একটি পরিক্ষা। তাই শান্তভাবে এটার মোকাবেলা করুন। আপনি শতভাগ নিখুঁত মানুষ নন। তাই আপনি যেসব সমস্যার মোকাবেলা করবেন, খেয়াল রাখবেন রাগ যেন তাতে প্রভাব বিস্তার না করে।

আন্তরিকতার সাথে অনুশোচনা করে ফেলুন

 বসে থেকে কেবল নিজের পাপ নিয়ে চিন্তা করবেন না এবং আগামীকাল ক্ষমা চাওয়ার পরিল্পনা করবেন না। আগামীকাল যে আসবে, এই ওয়াদা কারও সাথে করা হয়নি। দেরি করবেন না। আন্তরিকতার সাথে অনুশোচনা করে ফেলুন।

অন্যের ব্যাপারে ভালো চিন্তা করুন। অন্যকে প্রশ্নের মুখোমুখি করা এবং তাদের প্রতিটি কর্মকান্ড সম্পর্কে সন্দেহ করাটা এখন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের মানসিকাতা ত্যাগ করুন। উন্নত চরিত্র গড়ে তুলুন।

আত্নাতুষ্টির ব্যাপারে সর্তক হয়ে যান। যে লোকটির নিজের ঈমান বাঁচাতে হিমশিম খাচ্ছে, তার থেকে নিজেকে কখনো আধ্যাত্নিকভাবে উঁচু ভাববেন না। আল্লাহ আমাদেরকে দৃঢ় রাখুন।

বিনয়ী হন। হয়তো ভাববেন, আপনি সবকিছু্ই জানেন। এটা কখনোই ভাববেন না, অন্যরা আপনাকে কিছুই শেখাতে পারে না। এমনকি আপনার অপছন্দনীয় মানুষের শিখতে পারেন। 

সর্বশক্তিমান ( আল্লাহ ), আমাদেরকে যা আদেশ করেছেন, সেসব আদেশকে কখনো তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবেন না। কাজটি করার জন্য আল্লাহ সাহায্য চান। এটাই সত্যিকার ঈমানদারের আচরণ। 

আপনার উপেক্ষা করা যা সামান্য একটি ভুল, আরেকটি বিরাট ভুলের জন্ম দিতে পারে। এটা তেমন কোনো বিষয় নয়’ এমন কথা বলার ব্যাপারে সাবধান হয়ে যান। এর মাধ্যমে হয়তো আপনি মারাত্নক পরিণতির শিকার হন। 

প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে নিশ্চিত করুন, আপনার শেষ কাজটি যেন ভালো হয়। সর্বশক্তিমান (আল্লাহকে)স্বরণ করুন এবং গোটা দিনটাতে যা করেছেন, সেসবের জন্য [আল্লাহর কাছে] ক্ষমা প্রার্থনা করুন।

অতীত জীবনের আপনি কি পরিস্থিতির মধ্য  দিয়ে গেছেন, তা মূল্যায়নের জন্য প্রচন্ড সাহস ও আস্থার প্রয়োজন হয়। যতক্ষণ সর্বশক্তিমান (আল্লাহর) উপর বিশ্বাস রাখবেন, ততক্ষণ আপনি ঠিক থাকবেন। 

No comments

Theme images by caracterdesign. Powered by Blogger.