ধৈর্যের মহৎ বড় গুণ পর্ব- ৪

ধৈর্যের মহৎ বড় গুণ পর্ব- ৪

যখন আপনি নিজের রাগ দমন করেন, তখন আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করেন। রাগ আপনার চারিত্রিক  দৃঢ়তার পরিক্ষা নেয়। েএ ব্যাপারে সচেতন হলে আপনাকে আর আক্ষেপ করতে হবে না।

বিপদ যেন আপনাকে ছিন্নভিন্ন ও বিধ্বস্ত করতে না পারে। ধৈর্য ও ঈমানের সাহায্যে বিপদ মোকাবেলা করে আপনার তো ভালো মানুষে পরিণত হওয়ার কথা।

সাধারণত, দুর্বল সময়ে আমরা ভেঙ্গে পড়ি। আমরা ভাবি, সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) আমাদেরকে পরিত্যাগ করেছেন। মেঘের আড়াল উপেক্ষা করে আমরা যদি সামনে অগ্রসর হই, তবে দেখতে পাবো: সূর্য হাসছে।

আল্লাহ আমাদের জন্য যা সংরক্ষণ করে রেখেছেন, তাতে কখনো সন্দেহ পোষণ করবেন না। আমরা সম্পূর্ণ চিত্র দেখতে ভুলে যাই। সামনে যা আছে, কেবল তাতেই মনোযোগ দেই আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন।

বিপদ আসলে, সর্বশক্তিমান (আল্লাহকে) কখনো দোষারোপ করবেন না। বিপদ আসে আমাদেরকে আরও শক্ত ও ধৈর্যশীল বানাতে, শাস্তি দিতে নয়। সর্বোপরি এসবের পিছনে রয়েছে হিকমত।

সমস্ত প্রতিকূলতা পেরিয়ে আপনি আজকের অবস্থানে এসেছেন েএবং আপনি অবিচল। এটা মনে করবেন না, সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) আপনাকে আরও দূরে নিয়ে যেতে পারেন? আল্লাহর পরিকল্পনাতে আস্থা রাখুন।

ইতিবাচক হন, ধৈর্যশীল হন এবং এটাই বিপদ মোকাবেলার সবচেয়ে নিরাপদ উপায়। এটা যদিও সহজ নয়, তথাপি এটার শেষ আপনি সীমাহীন অনুগ্রহ লাভ করবেন।

বিপদের প্রাথমিক সময়ে আপনি কীরুপ আচরণ করেন, সেটাই ধৈর্যের সত্যিকারের পরিক্ষা। হয় আপনি শান্ত ও সংহত থাকবেন, কিংবা উন্মাদ ও রাগান্বিত হবেন। এখন আপনিই সিদ্ধান্ত নিন।

ধৈর্য ধারণের জন্য আপনি পুরুস্কৃত হবেন পর্ব- ৫

কিছু সময় আপনার জন্য আশাপ্রদ হবে, কিছু সময় নিরাশার হবে। বারবার আপনি ব্যর্থ হবেন এবং সবকিছু নতুন করে শুরু করতে হবে। এটা হতাশার হলেও পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে। এই কাজটি করতে আপনি সক্ষম। তাই সর্বশক্তিমান (আল্লাহর) সাহায্য চান।

যারা চিন্তাগ্রস্থ এবং কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, কিংবা সর্বশক্তিমান (আল্লাহকে) প্রশ্ন করে যাচ্ছেন, তাদের মনে রাখা উচিত, আল্লাহ আপনাকে পরিক্ষা করছেন, যাতে করে পূর্বের তুলনায় আপনি আরও শক্ত ও বলিষ্ঠ হতে পারেন।

আঁকড়ে ধরে রাখতে রাখতে যারা ক্লান্ত এবং পরিস্থিতি কখন বদলায়, এটা নিয়ে যারা বেশ চিন্তিত, তাদের জেনে রাখা উচিত, লড়াই ও সংগ্রামের মাঝেই সৌন্দর্য নিহিত। সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) তাঁর কথাতে দৃঢ়। তাই ধৈর্য ধারণ করুন।

কঠিন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সর্বশক্তিমান (আল্লাহর) কাছে প্রার্থনা জানাতে ক্লান্তি বোধ করবেন না। আল্লাহর কাছে প্রার্থণা জানানো এবং একই সাথে  ধৈর্য ধারণের জন্য আপনি পুরস্কৃত হবেন।

হ্যাঁ, জিবন বিরক্তিকর হতে পারে, রাত গভীর হতে পারে এবং তা নিঃসঙ্গ হতে পারে। কিন্তু আপনার লক্ষ্য যডদি সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) হয়ে থাকেন, তবেই যাই ঘটুক না কেন, আপনি ধৈর্যের সাথে সেবস মোকাবেলা করে যাবেন।

আপনি যদি আত্মার শান্তি অন্বেষণ করেন, তবে সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) আপনার জন্য যা ঠিক করে রেখেছেন, তাতে সন্তুষ্ট হন। কৃতজ্ঞ হন।  ধৈর্যশীল হন, তবেই তৃপ্ত হবেন।

সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে ভালো মতো চিন্তা করুন। তাড়াহুড়ো করে কাজ করবেন না। বেশিরভাগ সময়ই আমরা রাগান্বিত বা বিষন্ন অবস্থায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। এটা করবেন না। ধৈর্য ধারণ করুন।

রাগ প্রজ্বলিত আগুনের মতো। যদি রাগ নিয়ন্ত্রণ করেন, তবে আপনি সেই আগুন নিভিয়ে দিলেন। কিন্তু আপনি যদি এটাকে প্রবল হতে সুযোগ দেন, তবে উল্টো সেটা আপনাকে গ্রাস করবে।


No comments

Theme images by caracterdesign. Powered by Blogger.