অনুশোচনা নিয়ে উক্তি পর্ব- ১


অনুশোচনা নিয়ে উক্তি

আশেপাশের শোরগোল দ্বারা হতবিহ্বল হবেন না। থামুন এবং উপলদ্ধি করুন। তখন বুঝতে পারবেন, আশেপাশের সকল অনর্থক জিনিস দ্বারা আপনি কতটা সময় অপচয় করেছেন।

সর্বদা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান, অতীত গুনাহের জন্য, যেসব গুনাহ আপনি ভুলে গেছেন, বা উপেক্ষা করেছেন। আন্তরিকতা ও বিনয়েরর সাথে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন, তিনি যেন সেসব পাপের জন্য আপনাকে শান্তি না দেন।

এখন  যা হচ্ছে সেটাই আপনার জন্য সর্বোত্তম। আপনাকে এটা বিশ্বাস করতে হবে। হয়তো আপনি সেটা বুঝতে পারছেন না, কিন্তু আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন, আপনি পুরুষ্কৃত হবেন।

ছোট গুনাহকে তুচ্ছ ভাববেন না। এটার বিপদ হচ্ছে, এটা অভ্যাসে পরিণত হবে এবং  এটা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। পাপের নিশানাগুলিকে চিহ্নিত করুন এবং ঠিক রাস্তায় ফিরে আসুন।

এক ফোঁটা আন্তরিক চোখের জলের ক্ষমা প্রার্থনা আপনার পাপ মুছে দিতে পারে। সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। ইতস্তত করবেন না। অনুশোচনা করুন।

আমরা কান্না করি, আল্লাহ শুনেন। আমরা কষ্ট পাই, তিনিন আরোগ্য দান করেন। আমরা ডাকি, তিনি সাড়া দেন। আমরা অনুশোচনা করি, তিনি ক্ষমা করেন। সর্বশক্তিমান (আল্লাহর) কাছে সবকিছু চান এবং সর্বদা চেয়ে যান।

নিজের সমস্যার কথা সবার কাছে অভিযোগের সুরে বলে বেড়ানোর অভ্যাস ছেড়ে দিন। অধিকাংশ মানুষই এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না। তাই সকল বিষয়েরর নিয়ন্ত্রণকারী সর্বশক্তিমান (আল্লাহর) সাথে কথা বলুন।

আপনি কি পরিমাণ পাপ করেছেন, সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) সেসব বিবেচনায় আনেন না। বরং আপনি কি ধরনের অনুশোচনা করেছেন, সেটাই তিনি বিবেচনায় আনেন। পাপ যেন আপনাকে তওবা করতে অক্ষম না বানায়।

দুঃখ ও কষ্টকে একসাথে আলিঙ্গন করতে শিখুন

আমাদের সকলেরই দূর্বলতা রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই  দেখা যায়, সেসব দূর্বলতার উৎস আমাদের অন্তর। অন্তরকে বিশুদ্ধ করতে সর্বশক্তিমান (আল্লাহর) কাছে সাহায্য চান। যে অন্তর সর্বদা আল্লাহকে নিয়ে চিন্তা মগ্ন থাকে সে অন্তর মন্দ কাজ করার সময় পায় না। 

সম্ভাব্য সকল উপায়ে দয়া ও সহনশীলতা ছড়িয়ে দিন। মন রাখবেন, এটা এক প্রকারের দান। আপনি যাই করুন না কেন , কোনো না কোনো পথ ধরে, কোনো না কোনোভাবে , কোনো এক সময়,সেটা আপনার কাছেই ফিরে আসবে। 

কখনো কখনো আমাদের মনে এমন অনুভূতি আসে, যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব হয় না, তাই আমরা চুপ করে থাকি। ঐ সময়টিতে অস্থির হবেন না। সর্বশক্তিমান ( আল্লাহ) এসব জিনিস অন্য সকলের চেয়ে ভালো মতো অবগত আছেন। 

সময়কে অভিশাপ দিবেন না । সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) সময়ের মালিক। আমাদের সকলের জন্য ২৪ ঘন্টা বরাদ্ধ  রয়েছে। কিন্তু কিছু মানুষ এই সময় থেকে অধিক ফলাফল বের করে আনেন। এটাই আল্লাহর অনুগ্রহ।

সর্বশক্তিমান (আল্লাহ), প্রতিদিনের সালাতে (নামাযে) তাছাড়া করার জন্য এবং দুনিয়াবী লোভ-লালসা মেটানোর জন্য সলাতে মনোযোগ দিতে না পারায় [ আমরা লজ্জিত ও অনুতপ্ত], আমাদের ক্ষমা করুন। 

সালাত (নামায) আদায়ে সময় আপনি যতই অমনোযোগী হন কেন, কখনো এই সম্পর্ককে ছিন্ন করবেন না আপনার জন্য সর্বশক্তিমান (আল্লাহর) কাছে প্রত্যাবর্তন করার  এটাই ধরে রাখুন। আপনি পুনরায় মনোযোগ ফিরে পাবেন। 

আপনার হয়তো বেদনাদায়ক অতীত থাকতেও পারে। তারপরেও সেটা নিয়ে পড়ে থাকবেন না । শেষ বিচারের দিনকে তো এজন্যই রাখা হয়েছে । জীবনের সংগ্রাম নেমে পড়ুুন। আপনার সেরাটা ঢেলে দিন। সর্বশক্তিমান (আল্লাহর ) উপর ভরসা রাখুন।

কেউ আক্রমণের চেষ্টা করলে, খেয়াল রাখবেন, আপনার সাথে কীরুপ আচরণ করে। তাদের মন্দ আচরণকে তো আর নিন্ত্রণ করা যাবে না, কিন্তু নিজের প্রতিক্রিয়াকে তো নিয়ন্ত্রণ করা যাবো। তাই নিজেকে সংযত রাখুন । বাজে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না।

No comments

Theme images by caracterdesign. Powered by Blogger.