ধৈর্য নিয়ে অনুপ্রেরণা মূলক বাণী পর্ব-১
ধৈর্য নিয়ে অনুপ্রেরণা মূলক বাণী পর্ব-১
যখন আপনি ক্ষতির মুখোমুখি হন, মনে রাখবেন, ধৈর্য ও সহিঞ্চুতার জন্য সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) আপনাকে এমন পুরুস্কার দিবেন, যেটা আপনার হারানো জিনিসের চেয়েও মূল্যবান।
আপনার সাথে অন্যায় হতে পারে এবং সেটা বহু যন্ত্রণা সৃষ্টি করতে পারে। তথাপি, মনে রাখবেন, সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) এর মাধ্যমে আপনাকে আরও শক্ত ও বলীয়ান করে তোলেন।
আপনি যদি নিজের আত্মার শক্তি ও ক্ষমতা দেখতে চান, তবে পরখ করে দেখুন, আপনি কতটা ধৈর্যশীল এবং কতটা সহজে আল্লাহর ইচ্ছাকে মেনে নেন। যখন আপনাকে বাঁকানো হয়, তখন ভেঙ্গে পড়বেন না।
ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা করলে ভাগ্য বদলাবে না। উদ্যমী জিবন যাপন করুন। আল্লাহ আপনার জন্য কেবল উত্তমই চান, এই বিশ্বাস ধারণ করে, এমন এক চাঙ্গা অন্তর তৈরি করুন।
কষ্ট সর্বশক্তিমান (আল্লাহর) তরফ থেকে আসা এক উপহার। যদি ধৈর্য ধারণ করেন এবং অবিচল থাকেন, তবে পরিস্থিতি যতিই ভয়াবহ হোক না কেন, আল্লাহ আপনাকে পুরষ্কৃত করবেন এবং তিনি আপনার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন।
সর্বশক্তিমান (আল্লাহ), আমরা দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছি। [ হে আল্লাহ] আমাদের ঈমানকে শক্ত করুন িএবং সেটাকে হেফাজত করুন। আমাদের সৎ লোকের সাথি বানান এবং উপকারী জ্ঞানের দিকে ধাবিত করুন।
এটা ভাববেন না, কষ্ট আপনাকে দুর্বল বানায়। কষ্ট এমনটি করে না। আল্লাহ জীবনকে কতটা গভীর করেছেন, কষ্ট সেটাকে তুলে ধরে। তাই কষ্ট যখন আপনাকে নিচে নামিয়ে দেয়, [ তখন মনে রাখবেন] আল্লাহ সেখানে বিরাজ করেন।
লোকজন সমালোচনা করবে। লোকজন ভুল বুঝবে। এটাই স্বাভাবিক। ভালো নিয়ত ও পরিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে যতক্ষণ আপনি শাস্তিতে আছেন, ততক্ষণ সেটাই আসল ব্যাপার।
কেউ যদি আপনার ব্যাপারে গুজব ছড়ায়, কিংবা আপনার নিন্দা করে, তবে শান্ত থাকুন। পাপে লিপ্ত হওয়ার মাধ্যমে, তারা আপনার মন্দ কর্মগুলো নিজেদের কাঁধে তুলে নিচ্ছে এবং নিজেদের ভালো কর্মগুলোকে আপনার হাতে তুলে দিচ্ছে।
আমরা হতাশ হই, কেননা অন্যদের থেকে আমরা অনেক বেশি প্রত্যাশা করি। এটা করবেন না। মানুষ বদলায়। তারা সবসময় একই থাকবে, এটা কখনো ভাববেন না। সর্বশক্তিমান ( আল্লাহর) পরিকল্পনার উপর আস্থা রাখুন।
ধৈর্যের সাথে উত্তম পুরুষ্কার অপেক্ষা করে
সময় যখন কঠিন, তখন মনে রাখুন, সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) ধৈর্যকে কতটা ভালোবাসেন। সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জানান। ভুলে যাবেন না, ধৈর্যের সাথে উত্তম পুরুষ্কার অপেক্ষা করে।
শেষ অবধি সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) ছাড়া আর জিবনে আর কারোর প্রয়োজন পড়ে না। আপনি যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই যান না কেন, ধৈর্য ধারণ করুন। তার উপর আস্থা রাখুন সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে।
যখন আপনি পূর্ণভাবে সর্বশক্তিমান (আল্লাহর) ফয়সালাকে উপলদ্ধি করেন, তখন আপনি আর বিমর্ষ হন না। আপনি তখন জানেন, যাই ঘটুক না কেন, সবই আল্লাহর ইচ্ছা এবং সবই আপনার জন্য মঙ্গলজনক।
পরিস্থিতি আশানুরুপ না হওয়ার কারণে যখন আপনি সন্দেহ ও হতাশায় ভোগেন, তখন অভিশাপ দেয়া এবং কসম করা থেকে বিরত থাকুন। সবুর করুন, ধৈর্য ধারণ করুন। সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) উপযুক্ত সময় সম্পর্কে অবগত।
ইতিবাচক চিন্তার আলো দ্বারা প্রতিদিন নিজেদের মনকে সতেজ করুন। পরিস্থিতি আরও ভালো হবে। ধৈর্য ধারণ করুন। হ্যাঁ, এটা কষ্টাদায়ক, কিন্তু লক্ষ্যে পৌঁছালে আপনি এসব ভুলে যাবেন।
সর্বশক্তিমান (আল্লাহর) নিকটবর্তী হতে গেলে, আপনাকে লোকদের নানা ধরনের কটুক্তি ও শোরগোল শুনতে হবে, তা নিয়ে একদম মাথা ঘামাবেন না। মনোযোগ দিন ও ধৈর্য ধারণ করুন। আল্লাহ আপনাকে পথ দেখাবেন।
জিবন আপনাকে পিছনে ফেরার অনুমতি দেয়া না। সামনে এগিয়ে যান। সবকিছুরই একটা কারণ থাকে। আপনি সেটা এখন নাও দেখতে পারেন। তাই বিশ্বাস রাখুন।
দীর্ঘকাল ধরে আপনি সর্বশক্তিমান (আল্লাহর) কাছে কাকুতি মিনতি করে যাচ্ছেন, কিন্তু আল্লাহ আপনার দোয়াতে কর্ণপাত করছেন না, এটা ভাবা বেশ সহজ। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, এ ব্যাপারে সন্দেহ করবেন না। সবকিছুর জন্যই তার নির্ধারিত সময় রয়েছে।
সর্বশক্তিমান (আল্লাহর) কাছে দোয়া করতে কখনো থেমে যাবেন না। হাত তুলুন, আর্জি পেশ করুন। এটা আপনার সর্বোত্তম হাতিয়ার। এটার ব্যবহার করুন। আল্লাহ আপনার কাছ থেকে শুনতে ভালোবাসেন।
No comments