দুনিয়ার ভালোবাসা Vs আখিরাতের ভালোবাসা পর্ব-২ (ফিরেএসো)
দুনিয়ার ভালোবাসা Vs আখিরাতের ভালোবাসা
দুনিয়ার প্রতি যদি আপনার ভালোবাসা প্রগাঢ় হয়ে থাকে, তাহলে জেনে রাখুন , আপনি কিছুই কবরে নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন না। তাই আখিরাতের প্রস্ততি নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
অন্যের জীবনের সাথে প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু অংশ জড়িত থাকে। আমরা কখনো জানি না, [ অন্যের জীবনের] কোথায় আমরা খাপ খাই , কিংবা [তাদের জীবনে ] আমাদের প্রকৃত ভূমিকাই বা কি। কিন্তু আমাদের ছাড়া তাদের জীবন পূর্ণাঙ্গ নয়।
আপনি যতবারই পিছলে গেছেন, ততবারই স্রষ্টা আপনাকে তুলে ধরেছেন। যখন আপনি মনে করেছেন , দুনিয়া আপনার নিকট বোঝা, তখন আল্লাহ আপনাকে সেই বোঝা বহনের শক্তিও দিয়েছেন। তবে, আল্লাহ ছাড়া আপনার আর কি মূল্য আছে?
আপনি যখন লোকদেরকে সন্তষ্ট করতে কাজ করেন, তখন এমন কেউ না কেউ থাকবে, যে কেবল অভিযোগ জানাবে। যত ভালো কাজই করুন না কেন, সেটা [ ঐ লোকের জন্য ] যথেষ্ট হবে না। এমনটি করার পরিবর্তে সর্বশক্তিমান ( আল্লাহকে) সন্তষ্ট করতে মনোনিবেশ করুন।
অনেককিছু আপনি হয়তো করতে পারেন না, কিন্তু এটা মনে রাখবেন, শূন্য অন্তর ও সর্বশক্তিমান (আল্লাহর) প্রতি ভালবাসাহীন অন্তরের সাথে তুলনা করলে খালি হাত ও খালি পকেট নিতান্তই তুচ্ছ।
মুনাফেকি (ভণ্ডামি) নামক রোগ বহু মানুষকে আক্রান্ত করেছে। দুনিয়ার ও আশেপাশের মানুষকে দেখানোর জন্য ভালো কাজ করার [ হিড়িক পড়ে গেছে] সমস্যার গোড়াতে যান এবং অন্তরকে পরিচ্ছন্ন করুন।
ঝামেলা নিয়ে আলোচনার পরিবর্তে [আল্লাহর দেয়া] নেয়ামত নিয়ে বেশি করে আলোচনার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ইতিবাচক জিনিসের বিস্তৃতি ঘটালে, আল্লাহ আপনাকে আরও বেশি নেয়ামত দান করবেন।
নিজের প্রতি দয়া করুন। [অতীত] ভুলের জন্য নিজেকে প্রহারের দরকার নেই। সেসব ভুল আর্শীবাদের মতো। সেসব ভুলই আপনাকে আজকের অবস্থানে এনেছে।
যখন আপনি সুরঙ্গের একেবারে শেষে আলোর দেখা পান, তখন হাসি মুখে সর্বশক্তিমান (আল্লাহর) শুকরিয়া আদায় করুন। আল্লাহ সর্বদা আপনার উপর নজর রেখেছেন, অথচ আপনি কিনা [ মনে মনে] ভেবেছেন, আল্লাহ আপনাকে ভুলে গেছেন।
সহোদর ভাইবোনের প্রতি দয়াবান হন এবং তাদের সাথে সেরা সম্পর্ক তৈরি করুন। সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) তাদেরকে বিষেশ কারণে [আপনার জন্য] বাছাই করেছেন। তাদেরকে মূল্যায়ন করুন, অন্যথায় আফসোস করবেন।
সবচেয়ে কাছের মানুষের সকলেই সবসময় আপনার ভালোবাসার মানুষ হয় না। এটাকে মেনে নিন এবং সামনে এগিয়ে যান।
ভালোবাসার মানুষের ভুল পথে যাওয়াটা বেশ কষ্টদায়ক। আপনার সর্বোচ্চটা ঢেলে দিন এবং উপদেশ দিন। সর্বশক্তিমান (আল্লাহর) কাছে দোয়া করুন, যাতে আল্লাহ তাদের অন্তরকে ঠিক পথে চালিত করেন।
No comments