আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা পর্ব- ২ (ফিরেএসো)
আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা বলতে কি বোঝায়?
যখন কেউ শান্ত-নীরব থাকে তখন তাকে সবকিছুকে তুচ্ছজ্ঞানকারী উন্নসিক বা অহংকারী উপাধী দিয়ে দেবেন না। সে হয়তো তার কষ্টকে আড়াল করছে এবং এ ব্যাপারে কথা না বলাকে অধিকতার শ্রেয় মনে করছে। প্রতিটি ব্যাক্তি যেরুপ, তার সেরুপ হয়ে ওঠার পেছনে একটি কারণ রয়েছে। সেরুপ হয়ে ওঠার পেছনে একটি কারণ রয়েছে। এই কারণে সদয় হওয়াটা এত গুরুত্বপুর্ণ ।
অন্যদের সাথে তেমন করুন, ঠিক যেমন ব্যবহার আপনি নিজের বেলায় প্রত্যাশা করেন এবং যারা আপনার জন্য কিছু একটা করেছে, তাদের দিকে বেশি মনোযোগ দেন। একটি ভালো অন্তরকেও আপনার ওপর হতাশ হতে দেবেন না। মনে রাখবেন, একটি অন্তর ওই পর্যন্ত কঠিন হয় না, যতক্ষন না কিছু সামযের জন্য তাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। আজকের দিনগুলোতে ভালো মানুষেরা ক্রমশ অপ্রতুল হয়ে ওঠছেন।
সব সময় বিনয়ী হন। অহংকার যেন আপনার অন্তরকে আক্রান্ত না করে। আপনার চারিপাশের মানুষদের সম্মান করুন। প্রত্যেক দিন যাদের সাথে আপনার সাক্ষাত হয়, তাদের ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করুন। চেষ্টা করুন অন্যেদের অনুপ্রেরণার উৎস হতে। কেউই জানে না আগামীকাল কি নিয়ে আসবে। আপনি যতই জ্ঞানী হন না কেন, সর্বদা বিনয়ী থাকুন। প্রতিনিয়ত আপনার অন্তরের নিয়তকে যাচাই করুন। মনে রাখবেন, শয়তান বোকা ছিলো না, বরং সে ছিল অহংকারী।
আপনারা সমর্থিত কোনো একটি বিষয়ের জন্য বিশুদ্ধ অন্তরের নীরব দু’আ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ওই বিষয়ে জন্য বিপুল লাইন পাওয়ার চেয়েও বেশি অর্থবোধক।
যারা আপনার সাথে ভালো আচরন করে তাদের প্রতিপ ভালো হওয়াটা সহজ। আসল পরীক্ষাটা তখনই আসে, যখন আপনি তাদের সাথে ভালো আচরণ কতে সক্ষম হন, যারা আপনার সাথে অন্যায় করেছে। এটাই পরিপক্কতা।
বরকদময় তো সে, যার অন্তর চরমভাবে বিধ্বস্থরে এখনো ধারণ করে। এ ধরনের মানুষদেরকে সযত্নে লালন করুন। তাদের থেকে শিখুন।
আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা
অন্যকে ছোট করে যদি ভাবেন নিজেকে আপনি মহান বানাতে পারবেন, তবে আরেকটিবার ভাবুন। কখনো কাউকে কাউকে ছোট করবেন না। মনে রাখবেন, আপানি যদি তাদেরকে সাহায্য করতে না পারেন, অন্ততপক্ষে তাদেরকে কষ্ট দেবেন না কিংবা তারা অপদার্থ এমন অনুভুতি তাদের মাঝে সৃষ্টি করবেন না। যাদের সাথে আপনি সাক্ষত করেন, তাদেরকে তাদের উপযুক্ত সম্মন দেন।
আপনি যে ভালো কাজই করুন না কেন, তা কোন না কোন পথ ধরে আপনার কাছে ফিরে আসবে। যখন আপনি কাউকে উচ্চতর অবস্থনে পৌছাতে করেন, তখন আপনাকে আরও উঁচুতে ওঠাতে সাহায্য করেন, তখন আপপনাকে আরও উচ্চতে ওঠার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে সর্বশক্তিমান আল্লাহ কাউকে (অবশ্যই) পাঠাবেন। ভালো ভালোরই জম্ন দেয়। আর (পরিস্তিতি) এভাবেই কাজ করে।
সত্য হচ্ছে; আমাদের সকলেরই উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণার প্রয়োজন। সবারই এমন কারো প্রয়োজন, যে তার জন্য উল্লাস ধ্বনি দিবে এবং যে তার মাঝে সেরাটা দেখে। এই দুনিয়াতে এমন বহু মানুষ আছে, যারা একে অন্যর নিচে নামায়। (তেমন মানুষ না হয়ে) কারোর জীবনে ইতিবাচক প্রভাবকে পরিনত হন।
যেখনেই যান না, কেন, দয়ার সাথে মানুষকে মুল্যয়ন করুন। কিন্ত তার বদলে কৃতজ্ঞতা বা অন্যকিছু প্রতাশা করবেনা না। বরং পুরষ্কারকে সর্বশক্তিমান আল্লাহর তরফ হতে আসতে দেন।
অন্যর জীবনকে কঠিন করে তুলবেন না। কোনো একদিন তা কোনো এক পথ ধরে আপনার কাছেই ফিরে আসবে। পরিস্থিতি সহজ করুন, তা্বে আল্লাহও আপনার জন্য ঠিক তাই কারবেন।
সবাইকে খুশি করার চেষ্টা করবেন না। এটা সুনিশ্চিত বিপর্যয়ের এক নিশ্চিত আয়োজন। বরং নিজের ব্যাপারে খাঁটি হন। নিষ্ঠাবাচন ব্যাক্তিরা আপনার মূল্যায়ন করবেই।
সত্য হচ্ছে; আমাদের সকলেরই উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণার প্রয়োজন। সবারই এমন কারো প্রয়োজন, যে তার জন্য উল্লাস ধ্বনি দিবে এবং যে তার মাঝে সেরাটা দেখে। এই দুনিয়াতে এমন বহু মানুষ আছে, যারা একে অন্যর নিচে নামায়। (তেমন মানুষ না হয়ে) কারোর জীবনে ইতিবাচক প্রভাবকে পরিনত হন।
যেখনেই যান না, কেন, দয়ার সাথে মানুষকে মুল্যয়ন করুন। কিন্ত তার বদলে কৃতজ্ঞতা বা অন্যকিছু প্রতাশা করবেনা না। বরং পুরষ্কারকে সর্বশক্তিমান আল্লাহর তরফ হতে আসতে দেন।
অন্যর জীবনকে কঠিন করে তুলবেন না। কোনো একদিন তা কোনো এক পথ ধরে আপনার কাছেই ফিরে আসবে। পরিস্থিতি সহজ করুন, তা্বে আল্লাহও আপনার জন্য ঠিক তাই কারবেন।
সবাইকে খুশি করার চেষ্টা করবেন না। এটা সুনিশ্চিত বিপর্যয়ের এক নিশ্চিত আয়োজন। বরং নিজের ব্যাপারে খাঁটি হন। নিষ্ঠাবাচন ব্যাক্তিরা আপনার মূল্যায়ন করবেই।
কিভাবে অন্যের সাথে ভালো আচরণ করবেন
অন্তরকে পরিশুদ্ধ করুন। অন্যদের যা করার, তাদেরকে তা করতে দেন। ভালো কাজ কররতে থাকুন। নিজের আলোকে এতটা মৃদু করবেন না যেন তা ওই (মন্দ) লোকাদের মতো অন্ধকারে পরিণত হয। (বরং) ওই লোকদের ওপর আলো ছড়ান।আপনি মানুষকে যেভাবে মুল্যাযন করেন, তারাও আপনাকে সেভাবে মুল্যায়ন করবে, এমনটি আশা করবেন না। আপনি যাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন, হয়তো সে-ই আপনাকে সবচেয়ে বেশি আঘাত দেবে। আপনি তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।
সর্বদা অন্যের সাথে সদয় ও সশ্রদ্ধ হন্। মনে রাখবেন, আপনি তাদের কাছে ফিরে আসবেন। কারো খারাপ করলে, তার পরিণতিও শেষ অবধি খারাপ হয়।
ভালো কাজ করতে থাকুন। অন্যের দুষ্কর্মের কারণে আপনি আপনার মূল্যবোধকে হারিয়ে ফেলবেন না। এমনটি করতে যত বেশি সংখ্যক মানুষকে পারেন, উৎসাহিত করুন। (বহু) জীবনকে তা বদলে দেবে।
আপনি যত দেবেন, ততেই ফেরত পাবেন। এমনিকী তা যদি অর্থ-কড়ি নাও হয়, তবুও আপনার সময়, কথা ও নসিহত পুরুষ্কার করবেন।
কিভাবে ভালো কাজ করবেন
ঠিক এই মহূর্তে আপনার জীবনে যাই ঘুটকি না কেন, পরিস্থিতি দেখতে যতিই বিবর্ণ হোক না কেন, যতক্ষন আপনি আন্তরিক হৃদয়ে সর্বশক্তমান আল্লাহকে তালাশ করেন, ততক্ষন যেকোনো কিছুই ঘটা সম্ভব।তিনি এমনসব জিনিস বাস্তবায়িত করবেন, যা আপনার সীমাবদ্ধ মন কখনো উপলব্ধি করেনি। তিনি সাড়া দেবেন এবং সেটাই তাঁর প্রতিশ্রতি।আপনি হয়তো এটাকে করুণার এক ছোট কাজ মনে করতে পারেন। কিন্তু আপনি যে ভালো কাজগুলো করেন, যভেবে আপনি অন্যের জন্য কিছু করেন, তা সর্বশক্তিমান আল্লাহ ভুলেন না। কিছিই তাঁর আড়াল হয় না-এমনকি তাঁর সন্তষ্টির জন্য করা কণা পরিমাণ ভালোকাজও না। ভালো কাজ কেরতে থাকুন, এমনকি যদি তার প্রতিদনি নাও পান। আপনি যা করেন, তিনি তা ভালোবাসেন।
আপনি যে ভালো কাজই করুন না কেন, তা আপানার এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহর মাঝে গোপন রাখুন। এটা ভুলে যাবেন না যে, জান্নাতের চাবিকাঠি আল্লাহর হাতে-আপনার চারপাশের মানুষের হাতে নয়। মানুষ কথা বলবেই এবং আপনি যাই করুন না কেন, তা-তে দোষ খুজে পাবে। তাদেরকে মন্তব্য করতে দেন। সর্বশক্তিমান আল্লাহই সবকিছুই জানেন।
No comments