আন্তরিকতার শ্রেষ্ঠ উক্তি পর্ব- ১ (ফিরেএসো)

আন্তরিকতার শ্রেষ্ঠ উক্তি

আপনি যাই করুন না কেন, লোক দেখানো কাজ করবেন না। নিয়ত পরিষ্কার রাখুন এবং এটাকে সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) ও নিজের মাঝে রাখুন। সামান্য অহমিকা নিয়তকে অর্থহীন করে দিতে পারে।

সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) আমরা অন্তর থেকে অহংকার ও সার্থপর দূর করুন। অন্তরকে বিনয় ও চিন্তাশীলতায় পূর্ণ করুন। [হে আল্লাহ] আপনিই সবিকছু করেন, আমাকে এটা [ বারবার] মনে করিয়ে দিন।

যখন আপনার অন্তর পবিত্র এবং নিয়ত আন্তরিক থাকে, তখন সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) পরিস্থিতিকে সব দিকে থেকে আপনার অনুকূল করেন। 

আপনি হয়তো শারীরিকভাবে সুস্থ, কিন্ত ‍অন্তরে যদি পরশ্রীকাতরতার জীবানু থাকে,  তবে আপনি রোগাক্রান্ত। যতক্ষণ না এটা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন, ততক্ষণ আপনি রোগাক্রান্ত। 

দুনিয়া বাহ্যিক বেশভূষা দেখে আপনাকে মূল্যায়ন করে।কিন্তু সর্বশক্তিমান দেখে আপনাকে মূল্যায়ন করে নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করবেন না। আপনি অনন্য, কেননা আল্লাহ [নিজ হাতে] আপনাকে সষ্টি করেছেন।

আন্তরিকতার দ্বারা অন্তর পবিত্র হয়

ভালো কাজ করেছেন বলে, সেটা নিয়ে বড়াই করবেন না। সর্বদা বিনয়ী থাকুন।ভালো কাজে আপনাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন।

আপনার আশেপাশে পরিস্থিতি ঘোলাটে হলেও, অন্তরে সর্বদা আশার আলো জ্বালিয়ে রাখুন। পরিস্থিতি যেরুপ হোক না কেন, দয়া ও উদারতাই বেঁচে থাকার একমাত্র পথ। 

লোকজন আপনার সাথে বাজে ব্যবহার করলে, সত্যের মাঝে আমরা খুঁজে বেড়ান। সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) সত্য জানেন, এটা অন্তরে গেঁথে নিন। তিনিই সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট।

যখন ভালো কাজ করেন, তখন আপনি সামনে এগিয়ে যান। ভালো কাজ নিয়ে মাথা ঘামাবেন না এবং লোকদের নিকট সেটা বলে বেড়াবেন না। মানুষের কাছ থেকে মনোযোগ ও স্বীকৃতি আদায়ে ব্যাকুল হবেন না। আল্লাহ নিশ্চিতভাবে আপনাকে উদার হস্তে পুরষ্কার দিবেন।

আপনি যে কাজ আন্তরিকতার সাথে সর্বোচ্চ ভাল নিয়তে করেন, সেটার ব্যাপার কারোর সমালোচনা ভয় করবেন না। বরং প্রসংসার ব্যাপারে কারোর সমালোচনা ভয় করবেন না। বরং প্রশংসার ব্যাপারে ভীত হন, কেননা সেটা আপনাকে অহংকারী বানিয়ে দেয়।

আন্তরিকতা সকল হিংসা ও বিদ্বেষ দূর করে

চট-জলদি উপসংহারে পৌঁছাবেন না। সর্বদা ভালোটা ভেবে নিন। জীবন নামের নৌকাতে আমরা সবাই আছি, কিন্তু আমাদের পথ ভিন্ন।তাই আমাদের পথ ভিন্ন। তাই দয়ালু হন।

প্রতিদিন ছাড়া ভালো কাজ করাটা সত্যই বেশ সুন্দর। একবার ভাবুন তো, যাদেরকে সাহায্য করেছেন,তারা আল্লাহর কাছে আপনার জন্য প্রতিনিয়ত দোয়া করে এবং আপনার উন্নতি প্রার্থনা করে। তাই সামনে এগিয়ে চলুন।

বসন্ত আসে আপনার অন্তর থেকে সকল ধরনে এলোমেলো মেঘের আবরণ দূূর করতে। এর মাধ্যমে আপনি বাস্তবতাকে আরও স্বচ্ছ ও হিকমতের সাথে দেখতে সক্ষম হন।

অন্যদেরকে খুশি করতে আপনি নিজের জীবনকে ব্যয় করবেন না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা এমন বহু নজির দেখতে পাই, যেখানে একজন আরেকজন থেকে বেশি দৃষ্টি আর্কষণ করতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। নিজের স্বাভাবিক আচরণ বজায় রাখুন। 

দিন দিন আমরা বেশ স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছি। নিজেদের নিয়েই আমরা মত্ত থাকি। সাহায্যের হাত প্রাসারিত করতে শিখুন। অন্যকে উপরে তুলুন। যত্নশীল হন। সদয় হন।

সহানুভূতির দৃষ্টি দিন

সর্বশক্তিমান (আল্লাহ), যদিও আমি হিমশিম খাচ্ছি, তথাপি আজকের পরিস্থিতি মোকাবেলা করা শক্তি আমাকে দিন। [হে আল্লাহ] হাল ছেড়ে দেয়ার কথা ভাবলে, সংগ্রাম চালিয়ে যেতে আমায় সাহায্য করুন এবং যা দরকার, তা করার শক্তি আমায় দিন। 

অন্তরে যা আছে, জিহ্বা তাই বলে। তাই অন্তর থেকে হিংসা, ঘৃণা, বিদ্বেষ ও সন্দেহ দূর করুন। বিশুদ্ধ অন্তর থেকে আপনি কেবল সুন্দর কথাই শুনতে পাবেন। 

লোকজনকে যদিও প্রত্যাশার চেয়ে ‘কম ধার্মিক’ আচরণ করতে দেখেন, তবে রেগে যাবেন না এবং তাদের ব্যাপারে চট-জলদি করে সিদ্ধান্ত প্রদান করেন না। সম্ভবত, তারা চেষ্টা চালাচ্ছে, কিংবা তাদের আরও দিক নির্দেশনার প্রয়োজন রয়েছে। 

মর্যাদা ও দয়ালু মন নিয়ে মানুষের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখুন। যেহেতু আমাদের সকলেরই স্রষ্টা এক। এতে আপনার অন্তর ইতিবাচক জিনিসকে আর্কষণ করবে এবং আপনি সর্বশক্তিমান (আল্লাহ) সন্তষ্টি অর্জন করবেন।

আপনার ‘সবকিছু’ আছে, েএর মানে এই নয় যে, আপনি কষ্ট মুসিবতে পতিত হবেন না। তাই যারা পরিবার, স্বাস্থ্য ও চাকুরি নিয়ে সমস্যায় আছে, তাদের প্রতি একবার হলেও সহানুভূতির দৃষ্টি দিন।

No comments

Theme images by caracterdesign. Powered by Blogger.